Description
বগুড়ার মহাস্থানগড় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন হিসেবে পর্যটকদের যেমন খুব বিখ্যাত একটি জায়গা। বগুড়ার দই এর মতো বেশ খ্যাতি ছড়িয়ে আছে দেশ বিদেশে এই মহাস্থানের কটকটির। মহাস্থানগড়ে বেড়াতে এসে কেউ কটকটি ক্রয় করে না এমনটি হয় না কখনো। এত টাই মজার ও সুস্বাদু এই কটকটি যিনি খেয়েছে তিনিই জানেন এর আসল স্বাদ। যারা বগুড়া ও বগুড়ার বাহিরে থেকে ঘরে বসে মহাস্থানগড়ের খাটি ঘীয়ে ভাজা কটকটি কিনতে চান তাদের জন্য বগুড়াবাড়ি নিয়ে এলো বগুড়ার বিখ্যাত দই এর মতো মহাস্থানের খাটি ঘীয়ে ভাজা কটকটি।
বগুড়া মহাস্থানগড়ের কটকটি কেন বিখ্যাত? যে কোন এলাকার বিখ্যাত খাবার হবার পিছনে অনেক রহস্য ও কারন থাকে। তবে এই কটকটির বিখ্যাত হবার প্রধান কারন হলো, সুগন্ধি সিদ্ধ চালের আটা ও খাটি আখের গুঁড় সহ খাটি ঘীয়ে ভাজার জন্য। এছাড়াও এতে যে উপকরন গুলো যেমন মশলা, কালোজিরা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় তা এর স্বাদ আরো মজার ও সুস্বাদু করে তোলে। যা সকল বয়সের সবার অনেক পছন্দের ও ভালো লাগে।
মহাস্থানের বিখ্যাত কটকটি কেন এত জনপ্রিয়?
সিদ্ধ চালের আটায় তৈরি একটি সুস্বাদু খাবার।
চারকোনা বিস্কুট আকৃতির শুকনো মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার।
বগুড়ার মহাস্থানের ঐতিয্যবাহী সুস্বাদু খাবার।
কটকটি ঘীয়ে ও ডালডায় ভাজা পাওয়া যায়।
দীর্ঘদিন সংরক্ষন করে খেতে পারবেন।
ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক সব বয়সের সবাই খেতে পারবেন।
নরম হওয়ায় সবাই খেতে পারবেন ও অনেক মজার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও খাটি উপাদান দিয়ে তৈরি বিধায় স্বাস্থ্যসম্মত ও ক্ষতিকর নয়।
ফুড কালার ও ভেজাল মুক্ত খাটি কটকটি।
মহাস্থানের বিখ্যাত কটকটির প্রস্তুত প্রণালী
বিখ্যাত এই মজার স্বাদের কটকটি তৈরির প্রধান উপকরণ হলো সিদ্ধ সুগন্ধি চাল। প্রথমে এই চাল দেড় থেকে দুই ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে
রাখতে হয়। এই চাল যখন একেবারে নরম হয় তখন পানি ঝড়ানো হয়। অর্থাৎ প্রায় ১৫-২০ মিনিট ধরে ছেঁকে শুকানো হয়। এরপর এই
চাল মিহি আটা করা হয় এবং চেলে নেয়া হয়। চালের মিহি আটা, কালোজিরা, বিভিন্ন মসলা, পানি, সয়াবিন তেল, ডালডা, ঘি পরিমান
মতো নিয়ে এক সাথে মাখিয়ে খামির তৈরি করা হয়। যা অনেকেই মন্ডা বা খাস্তা বলে থাকে। মাখানো যত ভালো হবে তত বেশি নরম ও
মচমচে হবে।
তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক সুন্দর করে বেশিক্ষন ধরে এই খামির তৈরি করা হয়। খামির তৈরি হলে তা চারকোনা আকৃতিতে কেটে নিয়ে
কাচা কটকটি বানিয়ে নেয়া হয়। এরপর সয়াবিন তেল, ডালডা বা ঘি উত্তাপে জ্বাল দিয়ে নেয়া হয় প্রায় ১৫ মিনিটের মতো। এরপর নরম
কাচা কটকটি গুলো এই তেলে ভেজে নেয়া হয়। ভাজার পর তা তেল থেকে তুলে ছেঁকে নিয়ে খাটি আখের গুঁড় ও তেজপাতা সহ জ্বাল
করে নেয়া হয় যতক্ষন না পর্যন্ত একটু আঠালো হয় গুঁড় গুলো। অর্থাৎ জ্বাল করা গুঁড় যদি পানি তে দেয়া একটুদেয়া হয় এবং পানিতে
যদি তা দলা বাধে তাহলে বুঝতে হবে এখন গুঁড় গুলোতে ভাজা কটকটি গুলো দিয়ে গুড়ের প্রলেপ দিতে হবে। ক্রমাগত গুড়ের মধ্যে
ভাজা কটকটি দিয়ে নাড়তে থাকা হয় যেন ভালো করে গুড়ের প্রলেপ লাগে এতে। এই ভাবে মজার এই কটকটি তৈরি করা হয়।
মূল্য বিবরণি
Reviews
There are no reviews yet.